ঢাকা ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিম চাষ করে লাখপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০১৭
  • ৩২০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিম সাধারণত শীতকালীন সবজি হলেও, অটো (রূপবান) জাতের শিম বর্ষায় চাষ করে লাভবান হচ্ছেন শেরপুরের নকলা উপজেলার অনেক চাষি। অসময়ের সবজি হওয়ায় বেশ দাম পাচ্ছেন তারা। অধিক উৎপাদনশীল ও লাভ বেশি পাওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদসহ বিভিন্ন নদী, খাল, বিলের তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের কৃষকরা এজাতের শিম চাষের দিকে ঝুঁকছেন। নামেমাত্র শ্রমে ও সেচহীন অটো শিম চাষে অন্যান্য এলাকার চাষীরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন। উপজেলার চরঅষ্টধর ইউনিয়নের উত্তর চরবসন্তি এলাকার মহাজ্জল আলী চলতি বর্ষায় সফল হওয়া এমন একজন শিমচাষী। ফলন আসার পর থেকে দেড় মাসে অর্ধলক্ষ টাকার শিম বিক্রি করেছেন। আরও আড়াই থেকে ৩ মাস বিক্রি করা যাবে। তাতে কমপক্ষে আরও লক্ষাধিক টাকার শিম বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
মহাজ্জল জানান, তার ৩৫ শতাংশ জমিতে মাচা তৈরি, বীজ ক্রয়, সার ও অন্যান্য সব মিলিয়ে ৫২ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। শিম ক্ষেতের ফলন দেখে তিনি আশা করছেন, তিন মাসেই তার দেড় লক্ষাধিক টাকা লাভ হবে। বর্তমানে তার ক্ষেত থেকে সপ্তাহে ২০ থেকে ২৫ কেজি শিম তুলতে পারছেন। প্রতি কেজি শিম ১২০ থেকে ১৫০ টাকা করে বিক্রি করছেন। সে হিসাবে প্রতি মাসে ১৪ হাজার ৫০০ থেকে ১৯ হাজার ৫০০ টাকার শিম বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে। তার দেখাদেখি উত্তর চরবসন্তি এলাকার তাজ উদ্দিন ও আজিজুল; মধ্য চরবসন্তি এলাকার সিরাজুল ইসলাম, মিরাজ আলী ও চাঁন মিয়াসহ অন্যান্য এলাকার ২০ থেকে ২৫ কৃষক অটো শিম চাষ করে লাভবান হয়েছেন। মহাজ্জল আরও জানান, তার প্রতিবেশী তাজ উদ্দিন গত বছর নাটোর যাওয়ার পথে রাজপুর বাজার এলাকায় এজাতের শিমের উৎপাদন দেখে আগ্রহী হন। তিনি নাটোর থেকে ফেরার পথে রাজপুর বাজারে নেমে স্থানীয় চাষীদের কাছ থেকে প্রতি কেজি বীজ ৬০০ টাকা করে কিনে আনেন এবং চাষ করার পদ্ধতি জেনে আসেন। চলতি বছর মহাজ্জলসহ অন্য চাষীরা তাজ উদ্দিনের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে এপ্রিলে অটো জাতের শিম বীজ বপন করেন। তাজ উদ্দিন জানান, এ জাতের শিমটি পাশের দেশ ভারত থেকে এ দেশে আনা হয়েছে। প্রতি শতাংশ জমিতে ১২০ থেকে ১৫০ গ্রাম বীজ বপন করতে হয়। একস্থানে দুইটি বীজ বপন করতে হয়। দুইটিই গজালে একটি তুলে ফেলতে হয়। তা না হলে বেশি পাতায় আলোকস্বল্পতা দেখা দিয়ে ফলন কম হতে পারে। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফলন আসার পর থেকে ৩ থেকে ৪ মাস শিম বিক্রি করা যায়। অন্য সবজির তুলনায় অটো জাতের শিমে লাভ বেশি হওয়ায় আগামীতে এজাতের শিম চাষির সংখ্যা ও পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শিম চাষ করে লাখপতি

আপডেট টাইম : ১১:২৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিম সাধারণত শীতকালীন সবজি হলেও, অটো (রূপবান) জাতের শিম বর্ষায় চাষ করে লাভবান হচ্ছেন শেরপুরের নকলা উপজেলার অনেক চাষি। অসময়ের সবজি হওয়ায় বেশ দাম পাচ্ছেন তারা। অধিক উৎপাদনশীল ও লাভ বেশি পাওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদসহ বিভিন্ন নদী, খাল, বিলের তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের কৃষকরা এজাতের শিম চাষের দিকে ঝুঁকছেন। নামেমাত্র শ্রমে ও সেচহীন অটো শিম চাষে অন্যান্য এলাকার চাষীরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন। উপজেলার চরঅষ্টধর ইউনিয়নের উত্তর চরবসন্তি এলাকার মহাজ্জল আলী চলতি বর্ষায় সফল হওয়া এমন একজন শিমচাষী। ফলন আসার পর থেকে দেড় মাসে অর্ধলক্ষ টাকার শিম বিক্রি করেছেন। আরও আড়াই থেকে ৩ মাস বিক্রি করা যাবে। তাতে কমপক্ষে আরও লক্ষাধিক টাকার শিম বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
মহাজ্জল জানান, তার ৩৫ শতাংশ জমিতে মাচা তৈরি, বীজ ক্রয়, সার ও অন্যান্য সব মিলিয়ে ৫২ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। শিম ক্ষেতের ফলন দেখে তিনি আশা করছেন, তিন মাসেই তার দেড় লক্ষাধিক টাকা লাভ হবে। বর্তমানে তার ক্ষেত থেকে সপ্তাহে ২০ থেকে ২৫ কেজি শিম তুলতে পারছেন। প্রতি কেজি শিম ১২০ থেকে ১৫০ টাকা করে বিক্রি করছেন। সে হিসাবে প্রতি মাসে ১৪ হাজার ৫০০ থেকে ১৯ হাজার ৫০০ টাকার শিম বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে। তার দেখাদেখি উত্তর চরবসন্তি এলাকার তাজ উদ্দিন ও আজিজুল; মধ্য চরবসন্তি এলাকার সিরাজুল ইসলাম, মিরাজ আলী ও চাঁন মিয়াসহ অন্যান্য এলাকার ২০ থেকে ২৫ কৃষক অটো শিম চাষ করে লাভবান হয়েছেন। মহাজ্জল আরও জানান, তার প্রতিবেশী তাজ উদ্দিন গত বছর নাটোর যাওয়ার পথে রাজপুর বাজার এলাকায় এজাতের শিমের উৎপাদন দেখে আগ্রহী হন। তিনি নাটোর থেকে ফেরার পথে রাজপুর বাজারে নেমে স্থানীয় চাষীদের কাছ থেকে প্রতি কেজি বীজ ৬০০ টাকা করে কিনে আনেন এবং চাষ করার পদ্ধতি জেনে আসেন। চলতি বছর মহাজ্জলসহ অন্য চাষীরা তাজ উদ্দিনের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে এপ্রিলে অটো জাতের শিম বীজ বপন করেন। তাজ উদ্দিন জানান, এ জাতের শিমটি পাশের দেশ ভারত থেকে এ দেশে আনা হয়েছে। প্রতি শতাংশ জমিতে ১২০ থেকে ১৫০ গ্রাম বীজ বপন করতে হয়। একস্থানে দুইটি বীজ বপন করতে হয়। দুইটিই গজালে একটি তুলে ফেলতে হয়। তা না হলে বেশি পাতায় আলোকস্বল্পতা দেখা দিয়ে ফলন কম হতে পারে। চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফলন আসার পর থেকে ৩ থেকে ৪ মাস শিম বিক্রি করা যায়। অন্য সবজির তুলনায় অটো জাতের শিমে লাভ বেশি হওয়ায় আগামীতে এজাতের শিম চাষির সংখ্যা ও পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।